সমপ্রতি ঢাকা ও কক্সবাজারের মধ্যে চলাচলকারী বিরতিহীন একমাত্র ট্রেন কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ তদন্তে র্যাবকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) আইকনিক রেল স্টেশনে সরজমিনে গিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করেছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
তদন্তের নেতৃত্ব দেয়া কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এডিশনাল এসপি আবু সালাম চৌধুরী বলেন, ট্রেনটি এ অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন। এখন স্বপ্ন নিয়ে খেলছে কালোবাজারির দল। আমরা সরেজমিন তদন্ত করছি। যারায় জড়িত থাকুক তাদের সামনে আনবো। আদালতে উপস্থাপন করবো।
তিনি আরও বলেন- শুধু কালোবাজারি নয় রেল লাইনে যে নাশকতা চলছে তার প্রভাব এখনো কক্সবাজারে পড়েনি। আমরা সার্বক্ষণিক বিষয়গুলো নজরদারিতে রেখেছি। স্টেশনের যেকোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবো। গত রোববার কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত-১ এর বিচারক শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যা কালোবাজারি দমনে মামলা করেন।
মামলার আবেদনে বলা হয়, কক্সবাজার এক্সপ্রেসের টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে বলে সমপ্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদে বলা হয়েছে একটি সিন্ডিকেট টিকিট বাগিয়ে নেয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন। যা ফৌজদারি কার্যবিধিতে আমলযোগ্য। বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত স্বপ্রণোদিত মামলা করে র্যাব-১৫কে তদন্তের নির্দেশ দেন। টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে কিনা তদন্ত করে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
গত ১১ নভেম্বর কক্সবাজার এক্সপ্রেসের উদ্বোধন হলেও বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু করে ১ ডিসেম্বর থেকে। প্রথম দিন থেকেই এই ট্রেনের টিকিটের ব্যাপক চাহিদা দেখা যাচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী টিকিট না পাওয়া যাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়।
অভিযোগ উঠেছে অনলাইন ও কাউন্টারে টিকিট পাওয়া না গেলেও কালোবাজারে বেশি দামে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি টিকিটের জন্য দেড় থেকে দুইশ টাকা বাড়তি চাওয়া হচ্ছে।
টিএইচ